Mailing List
Sign up for our mailing list to get latest updates and offers.
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে?
আমেরিকা, উন্নত জীবনযাত্রা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি দিয়ে সবসময়ই বহু মানুষের কাছে স্বপ্নের দেশ। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে - যেমন শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা, অথবা ভ্রমণের জন্য আমেরিকা পাড়ি জমানোর স্বপ্ন দেখেন। তবে এই স্বপ্ন পূরণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সবসময়ই মনে ঘুরপাক খায় যে - বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে?
এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট কোনো একটি উত্তরে আমেরিকা পৌঁছানো বেশ কঠিন, কারণ সেখানে যাওয়ার খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। আপনার ভিসার ধরণ, ভ্রমণের সময়, বিমানের টিকিট, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ সামগ্রিকভাবে এই ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগতে পারে এই সমস্ত বিষয়গুলো আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। এতে করে আপনি একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে তার আনুমানিক খরচের ধরণ এবং বিবরণ
১. ভিসার ধরণ ও খরচ:
আমেরিকা যাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সঠিক ভিসা নির্বাচন করা এবং এর জন্য আবেদন করা। বিভিন্ন ধরণের ভিসার জন্য আবেদনের খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কিছু জনপ্রিয় ভিসার ধরণ এবং তাদের আনুমানিক খরচ নিচে উল্লেখ করা হলো:
• বি-১/বি-২ (ভ্রমণ/ব্যবসা ভিসা): এটি স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণের জন্য প্রযোজ্য। এই ভিসার আবেদন ফি বর্তমানে $185 (প্রায় ২০,০০০ টাকা)।
• এফ-১ (শিক্ষার্থী ভিসা): যারা আমেরিকায় পড়াশোনা করতে যেতে চান, তাদের এই ভিসা প্রয়োজন হয়। এর বর্তমান আবেদন ফি $185 (প্রায় ২০,০০০ টাকা)। তবে এর সাথে SEVIS ফি যুক্ত হয়, যা বর্তমানে $350 (প্রায় ৩৮,০০০ টাকা)।
• জে-১ (এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসা): বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের জন্য এই ভিসা প্রয়োজন হয়। এর আবেদন ফি $185 (প্রায় ২০,০০০ টাকা)। কিছু ক্ষেত্রে SEVIS ফি প্রযোজ্য হতে পারে।
• এইচ-১বি (বিশেষ পেশার ভিসা): দক্ষ পেশাদার কর্মীদের জন্য এই ভিসা প্রদান করা হয়। এর প্রাথমিক আবেদন ফি $460 (প্রায় ৫০,০০০ টাকা)। তবে এর সাথে অন্যান্য ফি যুক্ত হতে পারে।
• ইবি-৫ (বিনিয়োগকারী ভিসা): যারা আমেরিকায় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রিন কার্ড পেতে চান, তাদের জন্য এই ভিসা প্রযোজ্য। এই ভিসার সাধারণত খরচ অন্যান্য ভিসার তুলনায় অনেক বেশি, যা কয়েক লক্ষ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
উল্লেখ্য, ভিসার ফি পরিবর্তন হতে পারে। তাই আবেদন করার আগে ইউএস অ্যাম্বাসির ওয়েবসাইট থেকে হালনাগাদ তথ্য দেখে নেওয়া অপরিহার্য।
২. বিমানের টিকিটের খরচ:
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার বিমানের টিকিটের দাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই টিকিটের মূল্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন:
• ভ্রমণের সময়: পিক সিজনে (যেমন গ্রীষ্মকাল বা বড় ছুটির সময়) টিকিটের দাম সাধারণত বেশি থাকে। অফ-সিজনে তুলনামূলকভাবে কম দামে টিকিট পাওয়া যায়।
• এয়ারলাইন্স: বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে টিকিটের দামে ভিন্ন হয়। সরাসরি ফ্লাইটের টিকিট সাধারণত কানেক্টিং ফ্লাইটের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হয়।
• টিকিট কেনার সময়: ভ্রমণের তারিখের যত আগে টিকিট বুক করা যায়, সাধারণত তত কম দামে পাওয়া যায়। শেষ মুহূর্তে টিকিট বুক দাম অনেক বেশি হতে পারে।
• রুটের উপর নির্ভরতা: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার সরাসরি ফ্লাইট নেই। সাধারণত এক বা একাধিক ট্রানজিট হয়ে পৌঁছাতে হয়। রুটের উপর ভিত্তি করেও টিকিটের দামে পার্থক্য দেখা যায়।
সাধারণভাবে, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার একমুখী (one-way) টিকিটের দাম ৮০,০০০ টাকা থেকে ২,৫০,০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে। রিটার্ন টিকিটের ক্ষেত্রে এই খরচ দ্বিগুণ হয়। বিভিন্ন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি এবং এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে নিয়মিত খোঁজ রাখলে তুলনামূলক কম দামে টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩. থাকা-খাওয়ার খরচ:
আমেরিকায় থাকা-খাওয়ার খরচ আপনার জীবনযাত্রার মান এবং আপনি কোথায় থাকছেন তার উপর নির্ভরশীল। কিছু সাধারণ ধারণা নিচে দেওয়া হলো:
• আবাসন: বড় শহরগুলোতে অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বেশ বেশি হতে পারে। যেমন নিউ ইয়র্ক বা ক্যালিফোর্নিয়ার মতো রাজ্যে এক বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টের মাসিক ভাড়া প্রায় $1500 থেকে $3000 বা তারও বেশি হতে পারে। ছোট শহরগুলোতে এই খরচ কিছুটা কম হতে পারে। হোস্টেল বা গেস্ট হাউজে থাকলে খরচ তুলনামূলকভাবে খরচ কম হবে।
• খাবার: বাইরে রেস্টুরেন্টে খেলে খরচ অনেক বেশি হতে পারে। এটা খাবারের রুচির উপর নির্ভর করে প্রতি বেলায় $15-$50 বা তারও বেশি খরচ হতে পারে। সুপারমার্কেট থেকে খাবার কিনে রান্না করলে খরচ অনেকটা কমানো সম্ভব। প্রতি সপ্তাহে একজনের গ্রোসারি খরচ $50-$150 হতে পারে।
• পরিবহন: আমেরিকার শহরগুলোতে গণপরিবহন ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত। বাস, ট্রেন বা মেট্রোতে যাতায়াতের জন্য মাসিক $100-$200 খরচ হতে পারে। ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করলে গাড়ির কিস্তি, ইন্স্যুরেন্স এবং তেলের খরচ যোগ হবে।
তাই আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং আপনি কতদিন আমেরিকায় থাকবেন তার উপর নির্ভর করে থাকা-খাওয়ার বাজেট তৈরি করা উচিত।
৪. অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ:
ভিসা এবং বিমান টিকিটের খরচ ছাড়াও আরও কিছু আনুষঙ্গিক খরচ রয়েছে যা আপনার বিবেচনায় রাখা উচিত:
• পাসপোর্ট তৈরি বা নবায়ন ফি: যদি আপনার বৈধ পাসপোর্ট না থাকে, তবে এটি তৈরি বা নবায়ন করতে খরচ হবে।
• মেডিকেল পরীক্ষা: কিছু ভিসার জন্য মেডিকেল পরীক্ষার